লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী বাজারে একটি মোটর সাইকেল সার্ভিস সেন্টারের মালিক শ্রী গৌরাঙ্গ কুমার রায় (৩৬) কে করাতকল (ছ’মিল)র ভিতরে আটকে রেখে ছুরির মুখে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় শ্রী গৌরাঙ্গ কুমার রায় লালমনিরহাটের আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী গৌরাঙ্গ কুমার রায় জানান, তিনি “ভাই-ভাই মোটর সাইকেল সার্ভিস সেন্টার” নামে একটি গ্যারেজ চালিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। অভিযুক্ত মোঃ শাহানশাহ সরকার সাজু নামের এক ব্যক্তি প্রায়ই তার দোকানে এসে ১০হাজার টাকা চাঁদা দাবি করতেন এবং হুমকি দিতেন। চাঁদা না দিলে ব্যবসা করতে দেবেন না।
বুধবার (৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি বাজারে বাকির টাকা তুলতে বের হলে সাজু তাকে সাপ্টিবাড়ী বাজারের একটি করাতকলের ভিতরে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত আরও ৩-৪জন অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি মিলে আবারও ১০হাজার টাকা দাবি করেন। গৌরাঙ্গ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সাজু তার গলায় ধারালো ছোরা ধরে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। তবে পালানোর সময় শাহানশাহ তার ব্যবহৃত একটি রেজিস্ট্রেশন বিহীন ১৫০ সিসি পালসার মোটর সাইকেল ও একটি শপিং ব্যাগ ফেলে যান। পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি সদস্য আঃ খালেক মিয়া ও গ্রাম পুলিশ আজিজুল ইসলামের মাধ্যমে মোটর সাইকেলটি ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে রাখা হয়।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ফরহাদ মিয়া, সহিদুল ইসলাম ও রমজান আলী।
গৌরাঙ্গ অভিযোগে আরও জানান, ঘটনার পরপরই বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়েছি এবং থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি আইনগতভাবে বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ শাহানশাহ সরকার সাজু চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গৌরাঙ্গ আমার পরিচিত, তার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কও আছে। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ফরহাদ নামে এক প্রতিবেশী ব্যবসায়ীর সঙ্গে গৌরাঙ্গের ব্যবসায়িক বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধকে কাজে লাগিয়ে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় ও হয়রানি করার চেষ্টা চলছে।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আকবর বলেন, গৌরাঙ্গের দায়ের করা অভিযোগটি পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।